কক্সবাজারের পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী উত্তরপাড়ায় দুটি বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় এ সব বসতবাড়ি থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান দ্রব্যাদি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিকে চুরিকৃত মালামালের সন্ধান পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপির দুই সদস্য, গ্রাম পুলিশ, সমাজ কমিটির লোকজন গিয়ে ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ৮ টার দিকে চোরাই মালামাল জব্দ করে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী মিঠা বেপারীপাড়ায় জয়নাল আবেদীন ও উত্তরপাড়ার রিদুয়ানের বাড়িতে রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গোঁয়াখালী উত্তরপাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি আমাদের এলাকায় চুরি চামারি বেড়ে গেছে। গত দুই দিন আগে পাশর্^বর্তী দুটি গ্রামের দুটি পৃথক বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। রিদুওয়ান ও জয়নাল আবেদীনের বাড়ি থেকে লুটকৃত মালামাল দুই দিন পরে একটি বাড়িতে সনাক্ত হয়েছে। তৌহিদ নামের এক যুবক চুরির সাথে জড়িত। তার জেঠাত বোন শাহিদার বাড়ি থেকে জয়নালের চুরিকৃত গ্যাসের সিলিন্ডার ও চুলা জব্দ করা হয়। ইউপি সদস্য সাজ্জাদ, নুরুল আজিম, গ্রাম পুলিশ জসিম ও মোক্তার, আমরা সমাজ কমিটিসহ প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ সেখানে জড়ো হয়। মাল উদ্ধারের সময় এক প্রকার হট্টগোল হয়েছে। বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, রান্নাঘরের বেড়া কেটে চোর ঢুকে পড়ে। এ সময় আমার বাড়ি থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার, চুলা, কিস্তি পরিশোধের জন্য রাখা ২০ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। গ্রাম পুলিশ মোক্তার জানান, মেম্বারদের উপস্থিতিতে একটি বাড়ি থেকে চোরাইমাল উদ্ধার করি। এর আগে অন্তত ১০ টি বাড়িতে চুরি হয়েছে। রমজানের আগে মোহাম্মদ নুরের বাড়ি থেকে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অভিনব কায়দায় একটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। ইউপি সদস্য নুরুল আজিম জানান, পৃথকভাবে ৮/১০ টি বাড়িতে চুরি হয়েছে। আমরা গিয়ে চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক চোরদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানা ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ সব আবেদনে সুপারিশ করেছেন চুরি থামানোর জন্য প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে। সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম,বাহাদুর শাহ জানান, আমার এখানে গোঁয়াখালী থেকে অনেক লোকজন এসে বিষয়টি অবহিত করে। আমি পরামর্শ দিয়েছি থানায় গিয়ে আইনী সহায়তার জন্য। পেকুয়া থানার ওসি মো: ইলিয়াছ জানান, আমাকে এখনো কেউ জানায়নি। এ মাত্র শুনলাম। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় পাঠিয়ে দিতে বলেন।