শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন

পেকুয়ায় ফাঁসাতে আগুনে পুড়ালো বন্ধ দোকান

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৫৫ Time View

কক্সবাজারের পেকুয়ায় এবার বোন ও ভগ্নিপতিকে মামলায় ফাঁসাতে আগুনে পুড়ালো বন্ধ দোকান। সীমানা নিয়ে দু’বোনের বিরোধ আছে। এর জের ধরে একটি বন্ধ দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। ৩ এপ্রিল (বুধবার) বিকেল ২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আবাদিঘোনায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এস,আই নাজমুল হকসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, বসতভিটার সীমানা নিয়ে আবাদিঘোনায় মৃত আমিন শরিফের পুত্র আবুল কাশেম ও মৃত শাহাব মিয়ার পুত্র রেজাউল করিমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আবুল কাশেমের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম ও রেজাউল করিমের স্ত্রী লুৎফুন্নিছা মিনা আপন বোন। ২০০৮ সালে তারা রাজাখালী থেকে টইটংয়ে রিজার্ভ ভূমিতে বসবাস করছিল। সম্প্রতি জায়গা নিয়ে দু’বোনের স্বামীদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এতে করে প্রতিবেশী দু’পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ঘটনার দিন সকালে ছোট বোনের স্বামী আবুল কাশেম বড় বোন লুৎফুন্নিছা মিনার বসতভিটায় এসে ঘেরা বেড়া ভাংচুর করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। আবাদিঘোনার সমাজ কমিটির সর্দার ও সুফল কমিটির সভাপতি আবদু রহিম প্রকাশ রহিমদাদ বলেন, দোকানটি ১ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। মূলত রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী লুৎফুন্নিছাকে ফাঁসাতে নিজেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে আবুল কাশেম। এখানে আগুন দেওয়ার সময় অনেকে দেখেছে। সাথে সাথে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি আমরা। দোকানে মালামাল নেই। স্থানীয় মুদির দোকানী মো: শাকের জানান, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আবুল কাশেম ও তার ছেলে আবদুল খালেক পাতায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে ছালায় আগুন নিক্ষেপ করে। ৩য় শ্রেণির ছাত্র সাঈদ হোসাইন জানায়, আমরা দেখেছি আগুন দেওয়ার সময়। আমরা কয়েকজন শিশু রাস্তায় খেলছিলাম। এরপর দেখি আগুন। লুৎফুন্নিছা মিনা ও ছেনুয়ারা বেগমের বড় বোন তরিয়া খাতুন, ফরিদা বেগম এ দু’জনে জানান, আমরা ৫ বোন। দুই বোনকে একই স্থানে বসবাস করার জায়গা কিনে আমার ভাই ইউনুছ। এক আরেক বোনকে ফাঁসাতে আগুন দিয়ে দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী ও টইটংয়ের হিরাবুনিয়ার বাসিন্দা মো: ইউনুছ জানান, এটি আবুল কাশেম ও ছেনুয়ারা এবং তার ছেলে খালেক আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারা দুই জন আমার বোন। তবে আবুল কাশেম অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। এর আগে চেয়ারম্যান জাহেদ ও ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বিচার করে। নিজেদের দোকান নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়েছে। পেকুয়া থানার এস,আই নাজমুল হক জানান, ত্রিপল নাইন থেকে ফোন পেয়ে আমিসহ পুলিশ ফোর্স সেখানে গিয়েছিলাম। আসলে পূর্ব থেকে এদের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 bbcekottor.com
Technical suported by Mohammad Iliych