কক্সবাজারের পেকুয়ায় এবার নিরাপরাধীদের পক্ষে মানববন্ধন করেছে পাহাড়ী এলাকার বাসিন্দারা। বন্ধ দোকান পুড়িয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আবাদিঘোনা নামক দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় ওই কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় পাহাড়ী এলাকার প্রায় ২শতাধিক নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে এ কর্মসূচীর প্রতি একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেন।
সুত্র জানান, ৩ এপ্রিল (বুধবার) টইটংয়ের আবাদিঘোনায় অগ্নিকান্ডে একটি বন্ধ দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই দিন বিকেল ২ টার দিকে আবুল কাশেমের একটি বন্ধ দোকানে আগুনের সুত্রপাত হয়। এ নিয়ে দোকান মালিক আবুল কাশেম, প্রতিবেশী রেজাউল করিম গংদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। স্থানীয়রা জানান, আবুল কাশেমের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম ও রেজাউল করিমের স্ত্রী লুৎফুন্নিছা মিনা আপন বোন। ২০০৮ সালে তারা রাজাখালী থেকে টইটংয়ের আবাদিঘোনায় এসে বসতবাড়ি করে। সম্প্রতি বসতভিটার সীমানা নিয়ে দুই বোনের পরিবারের মধ্যে বনিবনা চলছিল। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডা হয়েছে। টইটংয়ের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার দু’পক্ষকে নিয়ে কয়েকবার বৈঠক করে। বুধবার দুপুরের দিকে আবুল কাশেম তার শ্যালিকা মিনার বসতভিটায় এসে ঘেরা বেড়া ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় আবদু রহিম, রহিমদাদ, ব্যবসায়ী শাকের, জমির, রবি আলম, বেলাল উদ্দিন, আবদুল লতিফ, আবদুল করিম, আনছার, নবী হোসেন, ফরিদা বেগম, তরিয়া খাতুন, স্কুল ছাত্র সাঈদ হোসাইন, লুৎফুন্নিছার ভাই মো: ইউনুছসহ নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীরা জানান, এ আগুন আবুল কাশেম ও তার ছেলে আবদুল খালেক ধরিয়ে দিয়েছে। মিনার স্বামী রেজাউল করিমকে মামলায় ফাঁসাতে তালাবদ্ধ একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘর নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়েছে। এর প্রতিবাদে অগ্নিকান্ডের ১ দিন পর আবাদিঘোনায় স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। এমনকি আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনসহ এলাকার শান্তি শৃঙখলা বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়।