নাটোরের গুরুদাসপুরে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গরিবের ‘মাংস সমিতি’। সমিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ৬ কেজি মাংস পেয়ে ভালোভাবেই কাটবে ঈদ-এমনটাই প্রত্যাশা সমিতির সদস্যদের। সমিতির সদস্য উপজেলার শিধুলী গ্রামের ভ্যান চালক রুহুল আমিন বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ঈদে ছেলে-মেয়েদের জামা কাপড় দিতেই সব টাকা শেষ হয়ে যায়। কোনমতে, চিনি, সেমাই কিনেছি। মাংস কেনার টাকা পাব কোথায়? কিন্তু সমিতি করে এইবার প্রায় ৬ কেজি গরুর মাংস পাব। সেই মাংস ছেলে-মেয়েদের খাওয়াইতে পারব। একই গ্রামের সোহেল রানা, আক্কাস আলী, আব্দুস সালাম জানান, মাংস সমিতির মাধ্যমে নিজেরা গরু কিনে এনে ভালো মাংস পাওয়া যায়। খরচও কম। তাছাড়া মাসিক হারে চাঁদা তোলায় সদস্যদের টাকা দিতে কষ্টও কম হয়।
জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০০-এর বেশি এমন সমিতি আছে। সেখানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণ করবে। প্রতিটি মাংস সমিতির সদস্য সংখ্যা ২০ থেকে ৫০ জন। সারা বছর একটু একটু করে সঞ্চয় করে ঈদের দুই-একদিন আগে পশু কিনে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেয় সমিতির সদস্যরা। এতে করে ঈদে বাড়তি আনন্দ পান এবং তাদের আর্থিক চাপও কমে যায়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের মাংস সমিতি গঠন করা হয়। শুরুতে শুধুমাত্র নিম্নবিত্তরা করলেও এখন মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরাও মাংস সমিতি করছেন।
পৌরসদরের মাজেম আলী বলেন, জানান তাদের সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৪৩ জন। প্রত্যেকে মাসিক ২০০ টাকা করে জমা দেন। বছর ঘুরে সমিতিতে জমানো টাকা দিয়ে গরু কেনা হয়। এই সমিতি গুরুদাসপুরে এখন বেশ জনপ্রিয়।#