কক্সবাজারের পেকুয়ায় শিলখালী ইউনিয়নের আলেকদিয়া পাড়ায় দু’মহিলাসহ একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে দুবৃর্ত্তরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-মৃৃত নুরুজ্জামানের পুত্র আহমদ ছবি (৫৭), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০), ছেলে পোশাক কর্মী কাইছার উদ্দিন (২৫), আহমদ শফির বোন ফাতেমা বেগম (৬৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত বসতভিটার জায়গা নিয়ে আলেকদিয়া পাড়ায় আহমদ ছবি ও তার ভাই মোহাম্মদ হোসেনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে দু’ভাইয়ের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশি বৈঠক করে। বৈঠকের মধ্যে বাকবিতন্ডাসহ উত্তেজনা হয়। এর এক পর্যায়ে মোহাম্মদ হোসেনসহ ৫/৬ জনের উত্তেজিত লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে করে একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছে।
আহত ফাতেমা বেগম জানান, মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ ছবি এ দু’জন আমার আপন ভাই। আমি গিয়ে আমার অংশসহ আমার ভাই আহমদ ছবির অংশ পৃথক করার চেষ্টা করছিলাম। এ নিয়ে মেম্বারসহ বৈঠক করে। বৈঠকের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন ও তার ছেলেরা এসে মারধর করে। আমাকেও মারধর করেছে। আহমদ ছবি জানান, পেশী শক্তির জোরে সে আমি ও আমার বোনের অংশ জোরপূর্বক দখল করে রাখে। আমি জায়গা বিক্রি করেনি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার জায়গা বলপ্রয়োগ করে জবর দখলে রাখে। অপরদিকে মোহাম্মদ হোসেন জানান, তারা এসে আমার ভোগ দখলীয় জায়গায় তান্ডব শুরু করে। এর আগেও কয়েকবার ঘটনা করেছে। আমি ও আমার ছেলেকে আঘাত করে তারা।
আহমদ ছবির স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, আমার ছেলে চট্টগ্রামে থাকে। চাকুরী করে গার্মেন্টসে। অন্যায়ভাবে আমাদের উপর হামলা করে। শিলখালী ইউপির স্থানীয় সদস্য মোহাম্মদ হাসান জানান, বৈঠকের বাইরে মারপিট হয়েছে। তারা দু’জনই আপন ভাই। বিরোধ জায়গা নিয়ে। আমি গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করি। এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। পেকুয়া থানার ওসি মো: ইলিয়াছ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।