কক্সবাজারের পেকুয়ায় এবার “ত্রিপল নাইন” থেকে ফোন পেয়ে শিক্ষকের জায়গা জবর দখল ঠেকাতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করল পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে বহিরাগত দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁসিয়াখালী সবজীবনপাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ও বারবাকিয়া ওয়ারেচিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু বক্কর আনসারীর ভোগ দখলীয় জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২ শতক জায়গা নিয়ে মাওলানা আবু বক্কর আনসারীর ও তার ভাই মোস্তাক আহমদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জায়গাটি শত বছরের বসতভিটা। তবে রেকর্ডীয় মালিক থেকে ওই জায়গাসহ পৃথক আরো অধিক জায়গা তিনটি দলিলমূলে আবু বক্কর আনসারীর স্ত্রী মাবিয়া বেগমের নামে খরিদ করে। এ সব খরিদকৃত সম্পত্তিতে পৃথক জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত আছে। জায়গা নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করে। এ নিয়ে ফৌজধারী দন্ডবিধির ধারায় মামলা রয়েছে। গ্রাম আদালতের তিনটি রায় আবু বক্করের অনুকুলে রয়েছে। পেকুয়া থানায় অভিযোগ ছিল। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা জায়গাটির স্থিতি নির্ণয় করতে একাধিকবার সরেজমিন পরিমাপও করে। সবকিছুতে আবু বক্কর গংদের পক্ষে যৌক্তিক প্রমাণাদি প্রতীয়মান হয়েছিল। ঘটনার দিন সকালে মোস্তাক আহমদের পুত্র ছিদ্দিক আজাদ, নুরুল আজিম, মাহাবুল আলম গং ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে জায়গা দখলের মহোৎসবে মেতে। এক পর্যায়ে তারা বহিরাগত লোকজন এনে সবজীবনপাড়ায় আবু বক্কর আনসারীর ভোগ দখলীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণকাজ আরম্ভ করে। অপরদিকে আবু বক্কর আনসারী গং ওই কাজের বিরুদ্ধে পুলিশের জাতীয় সেবা ত্রিপল নাইনে ফোন দেন। ফোন পেয়ে পেকুয়া থানার এস,আই রতনসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সকালে সবজীবনপাড়ায় বিরোধীয় স্থানে যান। এ সময় পুলিশ গিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের ধাওয়া দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোস্তাক আহমদের পুত্র ছিদ্দিক আজাদসহ তার অনুগত ভাড়াটে দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মাওলানা আবু বক্কর আনসারী জানান, এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্গন। বাহির থেকে ভাড়াটে অস্ত্রধারী এনে প্রকাশ্যে অন্য জনের জায়গা দখল করা চরম অন্যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। তারা কাজ না করতে বারণ করে। কোর্টে জিডি রয়েছে। পেকুয়া থানার এস,আই রতন জানান, ত্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। আইন শৃংখলার বিঘœ না ঘটাতে উভয়পক্ষকে বলেছি।