কক্সবাজারের পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মেহেরনামা বাজারপাড়ায় এবার জখমী সেই নারীর স্বামী ও পুত্রকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালালো দুবৃর্ত্তরা। কিছুদিন পূর্বে একই দুবৃর্ত্তরা এক গৃহবধূকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। এমনকি তারা ওই নারীর বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। গভীর রাতে বাড়িতে ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়। জখমী নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পেকুয়া থানায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এজাহার পাঠানো হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা থানায় মামলাও রেকর্ড করা হয়নি। এর জের ধরে দুবৃর্ত্তরা ঘটনার ১৩ দিন পর আবারো দ্বিতীয় দফা ঘটনা সংঘটিত করে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ২ টার দিকে দুবৃর্ত্তরা মেহেরনামা বাজারপাড়ায় জখমী নারীর স্বামী আতিকুর রহমান ও ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে আতিকুর রহমান জানান, ৫ এপ্রিল দিবাগত গভীর রাতে একদল দুবৃর্ত্তরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা আমার স্ত্রী কমরু বেগম (৪৫) কে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমার বাড়িতে তারা অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় আমি নন্দরীপাড়া এলাকার মুক্তার চৌকিদারের ছেলে আল মাহামুদ, ইউপি সদস্য যুবদল ক্যাডার আবু ছালেকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করি। অনেকবার থানায় গিয়েছি। কিন্তু আইনী কোন প্রতিকার পায়নি। মূলত এখানে আমি ও আমার পরিবার আ’লীগ করে। আর তারা বিএনপির সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী। ওদের হাতে টাকা, অস্ত্র, পেশীশক্তি সবকিছু আছে। আমরা এখন অসহায়। আমার স্ত্রীকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। অথচ ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আমি আইনী সহায়তা পাচ্ছি না। এলাকায় যেতে পারছিনা। দুপুরে আমার ছেলে দেলোয়ার টেকনাফ চলে যেতে বাড়ি থেকে বের হয়। আমি ছেলেকে কিছুদুর এগিয়ে দিচ্ছিলাম। কিন্তু বাজারপাড়ার মসজিদের সামনে দীঘির পাড়ে আমি ও আমার ছেলেকে অপহরণ চেষ্টা করে। আল মাহামুদসহ ২০/৩০ জনের লোকজন আসে। আমি ফজল কাদেরের বাড়িতে ডুকে পড়ি। তারা সেখানে গিয়ে দরজায় লাথি মারে। ফজল কাদেরের পুত্রবধূ রুমি জানান, আতিক ভয়ে আমাদের বাড়িতে ডুকে পড়ে। তাকে ধরে নিতে এখানে আসে। আমরা দরজা বন্ধ করেছিলাম। পরে প্রবাসী আবু তৈয়ব এসে উত্তেজিত লোকজনকে এখান থেকে সরিয়ে নেয়। জাইতুন্নেছা নামক স্থানীয় মহিলা জানান, এতগুলো লোক দেখে আমরা ভয় করছি। আসলে তারা আতিককে ধরে নিতে এসেছে। পেকুয়া থানার এস,আই আশরাফ জানান, এর আগের ঘটনা আমি তদন্ত করছি। আজকের ঘটনার বিষয়ে আতিক আমাকে ফোন করেছিল। থানায় আসতে বলেছি।