কক্সবাজারের পেকুয়ায় বারবাকিয়ার ভারুয়াখালীতে হামলায় পিতা-পুত্র ও এক গৃহবধূসহ ৩ জন আহত হয়েছে। ২১ এপ্রিল (রবিবার) দিনগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত বজল আহমদের পুত্র মুহাম্মদ নুরুন্নবী (৫০), তার পুত্র নুর মোহাম্মদ তৌহিন (১৯), মৃত নুরুল আজিমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল করিমের স্ত্রী সুমি আক্তার, স্থানীয় মুজিবুল হক, আবদুল মাবুদসহ অনেকে জানান, বসতভিটার জায়গা নিয়ে মৃত বজল আহমদের পুত্র মো: নুরুন্নবী ও প্রতিবেশী নুরুল আলমের পুত্র মো: রিদুওয়ান গংদের বিরোধ চলছিল। জায়গা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দেওয়ানী ও ফৌজধারী দন্ডবিধির ধারায় একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে ঘটনার দিন গভীর রাতে মো: রিদুওয়ানসহ ১৪/১৫ জনের দুবৃর্ত্তরা নুরুন্নবীর বসতবাড়িতে হানা দেয়। এ সময় রিদুওয়ানসহ তার অনুগত লোকজন ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে নুরুন্নবীর বসতবাড়িতে ভাংচুর চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রিদুওয়ান, মো: আরমান, মো: নেজাম, ইউনুছসহ ১৪/১৫ জনের দুবৃর্ত্তরা নুরুন্নবী, তার পুত্র তৌহিন, ভাইয়ের স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এ ব্যাপারে সুমি আক্তার জানান, হামলাকারীরা একটি বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডব চালায়। স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় মুজিবুল হক জানান, এটি পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। তারা তৌহিনকে অপহরণ চেষ্টা করে। তাকে তোলে নিয়ে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। ৩ জনকে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি মো: ইলিয়াছ জানান, লিখিত এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।