কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়ায় দু’পক্ষের মধ্যে জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৪ জন মহিলা, স্কুল ও কলেজের দু’শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতরা হলেন রাজাখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড উত্তর সুন্দরীপাড়ার মৃত নজু মিয়ার পুত্র হাজী আবদুল গণি (৮২), তার ভাই আক্তার হোসেন (৬৫), আক্তার হোসেনের স্ত্রী মিনা আক্তার (৫০), হাজী আবদুল গণির পুত্র বেলাল হোসেন (৪০), তার ভাই দেলোয়ার হোসেন (৩৮), আক্তার হোসেনের পুত্র শাকের উল্লাহ (২৩), বেলাল হোসেনের পুত্র স্কুল ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম (১৬), বেলাল হোসেনের স্ত্রী রুবি আক্তার (৩৫), দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তার (২৮), মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র বেলাল হোসেনের পুত্র শহিদুল ইসলাম (১৪), মোস্তাক আহমদের পুত্র চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র আনোয়ারুল ইসলাম (২২), হাজী আবদুল গণির পুত্র মোস্তাক আহমদ (৫৫), মোস্তাক আহমদের স্ত্রী জোবাইদা বেগম (৪০), মোস্তাক আহমদের পুত্র ওয়াহিদ (২০), মোস্তাক আহমদের পুত্র ১০ম শ্রেণির ছাত্র আনোয়ার হোসেন (১৫)।
আহত বেলাল হোসেন জানান, রাজাখালী ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরীপাড়ায় ১৯ শতক জায়গা নিয়ে হাজী আবদুল গণির পুত্র আক্তার হোসেন গংদের সাথে ও জামাল হোসেন গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। দু’পক্ষের বিরোধ নিস্পত্তির জন্য স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন দুপুরে বিরোধীয় জায়গা পরিমাপের জন্য সালিশি প্রতিনিধিসহ সার্ভেয়াররা সেখানে উপস্থিত হন। জায়গা পরিমাপ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়েছে। এর জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ব্যাপারে বয়োব্দ্ধৃ হাজী আবদুল গণি জানান, তারা পূর্ব থেকে উৎপেতে ছিল। লাঠিসোটা ও ধারালো দা, কিরিচ নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। আমিসহ ১৪ জন আহত হয়েছি। আক্তার হোসেনের স্ত্রী মিনা আক্তার জানান, আমরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আরো আহত কয়েকজন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে পারেনি। ৫ জন জখম অবস্থায় বাড়িতে অবরুদ্ধ রয়েছে। অপরদিকে জামাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ জায়গা নিয়ে তারা আমাকে হয়রানি করছে। অতর্কিত হামলায় আমরাও আহত হয়েছি। পেকুয়া থানার ওসি মো: ইলিয়াছ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।