কক্সবাজারের পেকুয়ায় সদর ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা আতিকুর রহমান (৫২)কে সড়ক থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে চিহ্নিত দুবৃর্ত্তরা তাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। আঞ্চলিক মহাসড়ক (এবিসি) সড়ক থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রাতেই ওই আ’লীগ নেতাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত আতিকুর রহমান ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমদের পুত্র ও সদর ইউনিয়ন আ’লীগের নেতা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আতিকুর রহমানের স্ত্রী কমরুন্নেছা জানান, ওই দিন সময়ে আতিকুর রহমান পেকুয়া বাজার থেকে মেহেরনামায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এবিসি সড়কের মৌলভী ছগির আহমদের বাড়ির সামনে রাস্তায় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দুবৃর্ত্তরা তাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা তাকে অতর্কিত হামলা করে। মুমূর্ষু অবস্থায় সড়কে ফেলে সটকে পড়ে। স্থানীয় মোক্তার চৌকিদারের পুত্র আল মাহামুদসহ ৮/১০ জনের দুবৃর্ত্তরা আমার স্বামীকে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা এ পর্যন্ত ১ মাসের মধ্যে ৩ দফা হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা করেছে। ৫ এপ্রিল রাত ২ টার দিকে আমার বাড়িতে আক্রমণ করে। আমাকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। অগ্নিসংযোগ করে।
১৭ এপ্রিল বিকেল ২ টার দিকে বাজারপাড়ায় আমার ছেলে দেলোয়ার ও স্বামী আতিককে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। তারা পিতা-পুত্র বাঁচতে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। স্থানীয়রা এসে ধাওয়া দিয়েছে হামলাকারীরা। সর্বশেষ ২৩ এপ্রিল রাতে ফের হামলা করে। প্রথম ২ টি ঘটনায় আমরা আইনী সহায়তা পাইনি। পুলিশ গিয়েছিল। কেন অদৃশ্য কারনে আমরা বার বার আইনী সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এম,আজম খান জানান, বিষয়গুলি আমি শুনেছি। ১ জন মানুষের উপর এ ভাবে অত্যাচার। নেই কোন আইনী সহায়তা। আমি বিস্মিত হয়েছি। আতিক ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা। গেল কাউন্সিলে তিনি কাউন্সিলার ছিলেন। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে অবশ্যই আইনী সহায়তা দিব। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ (সার্কেল) রকীব উর রাজা জানান, আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেব। অবশ্যই আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।