কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রায় ১ মাস পূর্বে লুটকৃত ১০ টি গরু এখনো উদ্ধার হয়নি। সৈনিকলীগ সভাপতির খামার থেকে গভীর রাতে দুবৃর্ত্তরা প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ১০ টি গরু নিয়ে যায়। ১ মাস পেরিয়ে গেলেও উদঘাটন হয়নি গরু লুটের এ ঘটনা। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি অভিযোগ রুজু করে। পেকুয়া থানা পুলিশকে এর তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়।
মামলার আর্জি সুত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪ সালের ৬ মার্চ দিবাগত রাত ২ টার দিকে রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনাপাড়া মো: ফোরকানের খামার থেকে ১০টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। একদল দুবৃর্ত্তরা স্বশস্ত্র অবস্থায় আতংক ও ভীতি ছড়িয়ে গরুগুলি গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ফোরকানের স্বজনসহ স্থানীয়রা সেখানে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করে। তবে দুবৃর্ত্তরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মামলায় ৬ জনকে আসামী করা হয়। সৈনিকলীগ নেতা মো: ফোরকানের স্ত্রী মামলাটি আদালতে রুজু করে। আর্জিতে আরো বলা হয়েছে, বাদীর স্বামী পৈত্রিক ভিটায় দালান নির্মাণ করে। সেই সময় আসামীরা বাদীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। পরবর্তীতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ১০ টি গৃহপালিত পশু খামার থেকে গভীর রাতে লুট করে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ রাজাখালীর সভাপতি ও খামারী মো: ফোরকান জানান, আমি এ পর্যন্ত তেমন আইনী সহায়তা পাইনি। থানায় অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে কোর্টে যেতে হয়েছে। তবে আমি বিস্মিত হয়েছি গরু লুটের প্রায় ১ মাস হচ্ছে। অথচ এ ঘটনার কোন ক্লু উদঘাটন নিয়ে অমিমাংসিত থেকে গেছে। আমিতো অধিক নিরাপত্তাহীন। অপরাধীরা পার পেয়ে গেলে সমাজে বেড়ে যায় অপরাধ প্রবণতা। নাগরিকদের জানমাল নিয়ে অনেকটা সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরী হয়। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য জানান, কোর্ট থেকে থানাকে তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।