সংবাদ প্রকাশের পর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ী। সাগরিকা’র পরিবারকে আর অন্যের জায়গায় থাকতে হবে না। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের সহাওতায় টয়লেট সহ দুই রুম বিশিষ্ট একটি পাকা বাড়ীর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করা হয়। ১৭ মার্চ দুপুর ১২টায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ারা আজম মুন্না, নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান,
রাঙ্গাটুঙ্গী মহিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, শেফালী বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, এমপির প্রতিনিধি আবু তাহের,প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী,
সাগরিকার বাবা লিটন আলী ও
সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম এবং গ্রমের প্রতিবেশী সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে এ প্রতিবেদককে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং পত্রিকায় নিউজ দেখার পরে আমি সাগরিকার বাড়িতে যাই, জরাজীর্ণ বাড়ি দেখে এ সময় তার পরিবারের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলি।
পরে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সাহরিয়ার আজম মুন্না এ বিষয়ে বলেন সাগরিকা সাফ জয়ী চ্যাম্পিয়নশিপের “সেরা গোলদাতা ও সেরা খেলোয়ার” দুটি পুরস্কারই পান তিনি সাগরিকা দেশের গর্ব, ঠাকুরগায়ের গর্ব, রাণীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী মহিলা ফুটবল একাডেমির গর্ব, একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলাম’র গর্ব, তাই রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশ সেরা খেলোয়াড়ের বাড়ি না থাকায় বাড়ি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাই আজ সাগরিকার নতুন বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হলো। এতে অন্যান্য খেলোয়ার গুলো খেলায় আরো মনোযোগী হবে।
এ বিষয়ে সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ কে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, আমরা খুবই খশি মেয়ের জন্য নতুন বাড়ি পাচ্ছি।