রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে সামরিক অভিযান চান না মালিকপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৭৮ Time View

বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে কোনো ধরনের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। তারা শর্ত মেনে নিরাপদে বন্দী ২৩ নাবিককে উদ্ধারের পক্ষে বলে জানানো হয়।

এমভি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের শিল্প প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী জিম্মি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারের প্রস্তুতির যে তথ্য গণমাধ্যমে আসছে তা সঠিক নয়। জাহাজের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানের পক্ষে নয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জলদস্যুরা ইতোমধ্যে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। যদিও তারা এখনো কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেননি। আশা করছি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জাহাজ উদ্ধার ও ২৩ নাবিককে সুস্থভাবে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। সে প্রচেষ্টা আমাদের চলছে। এক্ষেত্রে কোম্পানি পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বন্দী নাবিকদের স্বজনরা সবসময় আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও শান্তনা দেয়া হচ্ছে।’

এদিকে, বাংলাদেশের অনুমতি ছাড়া সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা জাহাজে কারো অভিযান চালানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘জলদস্যুদের কবলে থাকা ওই জাহাজের নাবিক ও ক্রুদের উদ্ধারে আলোচনা চলমান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।’

এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি এলাকায় ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভির যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি বন্দীদের মুক্তির আলোচনায় প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান তিনি।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুদের কাছে বন্দী আছেন ২৩ জন বাংলাদেশী নাবিক ও ক্রু।
সূত্র : ইউএনবি

Please Share This Post in Your Social Media

আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 bbcekottor.com
Technical suported by Mohammad Iliych