পেকুয়া উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় ব্যাপক হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে এ হট্টগোল হয়। উপজেলা সৃষ্টির পর থেকে এ ধরনের ঘটনা ইতিহাসে নজিরবিহীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন শৃংখলা কমিটির এক সদস্য জানান, ২৫ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে পেকুয়া উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির বৈঠক চলছিল। বৈঠকে চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচিত সাংসদ মেজর জেনারেল ছৈয়দ ইব্রাহীম (অব:) বীর প্রতীক ওই আইন শৃংখলা কমিটির প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম। আজকের বৈঠকে এমপি মহোদয়ের মনোনীত ৫ জন আইন শৃংখলা কমিটির সদস্য যোগদান করেন। তারা হলেন, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবাইদুল্লাহ লিটন, সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর, শিলখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজমগীর।
আইন শৃংখলা বৈঠক শুরু হলে প্রথমে মো:আজমীগর বক্তব্য রাখেন। এরপর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবাইদুল্লাহ লিটন বক্তব্যের শুরুতে বর্তমান উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদকে সভাপতি হিসেবে অস্বীকার করেন। ইউএনও মহোদয় উজেলা আইন শৃংখলা কমিটির রেজুলেশনে সভাপতি হিসেবে লিখে থাকলে তা সংশোধনের দাবী জানান। এরপর জুবাইদুল্লাই লিটনের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বক্তব্য প্রদান করলে হট্টগোল শুরু হয়। প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এ হট্টগোল চলতে থাকে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, পেকুয়া থানার ওসি মো: ইলিয়াছ, রাজাখালীর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, মগনামার চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী, টইটংয়ের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহাবুব ছিদ্দিকীসহ আইন শৃংখলা কমিটির সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক চলাকালীন সময়ে আইন শৃংখলা কমিটির সদস্যদের মধ্যে দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়। এ সময় এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে দোষ ক্রুটি প্রকাশ করে হট্টগোল করেন। এরপর আইন শৃংখলা কমিটি পন্ড হয়ে যায়। পরে টইটংয়ের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী হলরুম থেকে বের হয়ে রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে আসলে একদল দুবৃর্ত্ত তাকে নাজেহাল করেন। এ ব্যাপারে নবাগত ইউএনও সাইফুল ইসলাম উক্ত বৈঠকে অনাকাংখিত ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমি নতুন ইউএনও হিসেবে যোগদান করেছি মাত্র। আমার ভূল ক্রুটি হতে পারে। সে জন্য তিনি সবার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ সৈয়দ মেজর জেনারেল ইব্রাহীম বীর প্রতীক উক্ত সভা শেষে তাৎক্ষণিক জেলা আ’লীগকে ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন। আ’লীগের কমিটির দ্বন্ধ নিয়ে জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দকে সমাধান করার জন্য অনুরোধ জানান।