শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পেকুয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানা’র জনসংযোগ পেকুয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রসহ ৩ মহিলাকে পিটিয়ে জখম পেকুয়ায় অভিযানে দুই করাতকল সীলগালা পেকুয়ায় হাফেজখানার শিক্ষক মুজিবের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে বৃষ্টি প্রার্থনায় দোয়া, ইসতিসকার নামাজ আদায় পেকুয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানার গনসংযোগ ও মতবিনিময় সভা ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে দলিত আদিবাসীদের অনুকূলে সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন’ তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা

গুরুদাসপুরে উৎকোচ না দেয়ায় ছয় শিক্ষকের বেতন বন্ধ, মানবতার জীবন যাপন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
  • ৫০১ Time View

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিল চলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উৎকোচ না দেওয়ায় চার শিক্ষকের বেতন বন্ধ রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক শিক্ষকদের বেতনের চাহিদা পত্র সময়মত না পাঠানোর কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী চার শিক্ষক জানান, ২০১৬ সালে কলেজটি সরকারিকরণের পর ২০১৯ সাল থেকে কর্মরতরা বেতন ভাতা পাওয়া শুরু করেন। তবে বিষয় অধিভুক্ত না হওয়ায় অনার্সের ৭ জন শিক্ষক তখন বেতন পাননি। পরবর্তীতে গত বছরের ২৭শে জুলাই সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে দিয়ে তাদেরকে বেতনের আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে গণিতের প্রভাষক প্রশান্ত কুমার বেতন পেলেও বাকী ৬জন বেতন পাননি। ৬জনের মধ্যে ৪জন অভিযোগকারী মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ, প্রভাষক শামসুল আলম, ভ’গোল বিভাগের প্রভাষক আনোয়ার হোসেন এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাহীন আলম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ একরামুল হকের বিরুদ্ধে বেতন-ভাতা চালু করতে উৎকোচ দাবি করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষকদের বেতনের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর বিপরীতে কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের প্রধান মোঃ আব্দুর রশিদের মাধ্যমে উৎকোচ দাবি করেন। এখন তারা বেতন-ভাতা বি ত রয়েছেন। বেতন বি ত বাকী দুইজন শিক্ষক ওই অধ্যক্ষের সাথে আতাত করেছেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ওই অধ্যক্ষ তাদেরকে অন্যায়ভাবে শোকজ করেছেন।

অভিযোগকারী চার শিক্ষকের পক্ষে মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ জানান, উৎকোচ না দেওয়ার কারণে অধ্যক্ষ আমাদের বেতন-ভাতার চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাননি। যার কারণে বেতন না পেয়ে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। এছাড়া অভিযোগ করায় আমাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের প্রধান মোঃ আব্দুর রশিদ জানান, অধ্যক্ষ কোন উৎকোচ দাবি করেননি। অডিও কলরেকর্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অডিওর খন্ডিত অংশ মাত্র।
অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ একরামুল হক জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অসত্য, ভিত্তিহীন। তিনি সময়মত চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন। যেকোন সময় তারা বেতন পাবেন বলেও জানান তিনি। এছাড়া বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিস্কার করবেন বলেও জানান ওই অধ্যক্ষ।#

Please Share This Post in Your Social Media

আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 bbcekottor.com
Technical suported by Mohammad Iliych