চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নস্থ রেলের কাটায় পড়ে ভারসাম্যহীন জান্নাতুল ফেরদৌস সোহাগ (১৪) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে খুটাখালীর কান্তবিল-বালুরচরস্থ রেল সড়কে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত- জান্নাতুল ফেরদৌস সোহাগ (১৪) খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ছারীঘোনা গ্রামের শহিদুল্লাহর মেয়ে।
নিহতের মা আনোয়ারা বেগম প্রতিবেদককে জানান, আমার মেয়ে ছোট বেলায় জ্বীন-আছরের ফলে পাগলের মত হয়ে যায়। পরে হুজুর কিংবা কবিরাজ থেকে চিকিৎসা করে ভাল হয়। এরপর পড়াশোনা করে ৯ম শ্রেণিতে উঠে। এমতাবস্থায় পারিবারিক আর্থিক সমস্যা এবং পূর্বের রোগ ধারনের কারনে আপাতত বন্ধ রাখি। ঘটনার দিন ভোর রাতে মা -মেয়ে সহ বাড়ির সবাই সেহেরী খেয়ে উঠি। এমতাবস্থায় মেয়ে আমার পাশে বসে পূর্ব দিকে অপলকে থাকিয়ে ছিল। এসময় আমার চোখে ঘুম চলে আসে। সে ফাঁকে মেয়েটি ঘর থেকে বের হয়ে মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফজরের আজানের আওয়াজ শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গলে আমি মেয়েটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখোজি শুরু করি। তারপরে খবর পাই যে, রেলের রাস্তায় একটা মেয়ের লাশ দেখতে পেয়েছে বলে খবর শুনে তাড়াহুড়া করে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার একমাত্র মেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার। এরজন্য আমি কাউকে দায়ী করছি বা করবো না বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আউয়াল জানান, মেয়েটি সুস্থ হলেও সামান্য ভারসাম্যহীন। ফলে পরিবারের সবার অজান্তে বের হয়ে রেল সড়কে আসলে, এসময় চলন্ত রেলে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। পরে থানা পুলিশ লাশটি নিয়ে গিয়ে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে লাশের গায়ে আঘাতের কোন চিহ্ন মিলেনি। তাই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে একই দিন মাগরিবের নামাজের পর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।