কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে আবারো সংবাদ সম্মেলন করল শত বছর বয়সী বয়োবৃদ্ধ এক নারী। রেকর্ডীয় জায়গা থেকে গর্ভধারিণী মা’কে উচ্ছেদ করতে জড়ো করেছে ভাড়াটে মাস্তান। পেশী শক্তির বল প্রয়োগ করে মা’কে ভোগ দখলীয় জায়গা থেকে বিতাড়িত করে এমনকি আদালতের ১৪৪ ধারার আদেশ ভঙ্গ করে বিরোধীয় জায়গায় ছেলের লেলিয়ে দেয়া ভাড়াটে মাস্তানরা সেখানে তৈরী করে ফেলেছে অবৈধ স্থাপনা। মায়ের দখলে থাকা জায়গায় অনুপ্রবেশ করে। এ সময় সেখানেও নির্মিত স্থাপনা গুড়িয়ে প্রভাবশালী ছেলে। ওই কান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৫ বোনকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অবাধ্য ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে মা। এ দিকে ছেলের নির্যাতন ও চরম হয়রানির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা চৈরভাঙ্গায় ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ওই এলাকার মৃত মৌলভী আমিরুজ্জামানের স্ত্রী ছেমন খাতুন (১০০)। এ সময় পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিকদেরকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সমসাময়িক নির্যাতন ও হয়রানি নিয়ে ভিডিও বক্তব্য দেন। ছেমন খাতুন জানান, চৈর ভাঙ্গা স্টেশনে ১৭ শতক জায়গায় আমি দীর্ঘদিন ভোগ দখলে আছি। এ জমি আমার রেকর্ডীয়। স্বামী বেঁচে থাকতে এ জায়গা আমার নামে খরিদ করেন। আমার ছেলে শাহ আলম দুর্দান্ত চালাক, চতুর ছিল। জমি রেজিস্ট্রির সময় তার নামীয় কিছু জায়গা রেজিস্ট্রি নেয়। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর জায়গা জমির দলিল দস্তাবেজ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সে সংরক্ষণ করে। এরপর আমার ৫ মেয়ে, অপর ৪ ছেলেকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে। গোপনে অনেক জায়গা জমি শাহ আলম বিক্রি করেছে। চৈরভাঙ্গা ষ্টেশনের জায়গাটি আমার একক সম্পত্তি। কিন্তু সে আমাকে ওই জায়গা থেকে হটানোর চক্রান্ত করছে। আমি কোর্টে মামলা করেছি। এম,আর মামলা রয়েছে। এ সব না মেনে শাহ আলম স্থানীয় ও কয়েকজন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ মাস্তান গ্রæপ সক্রিয় করেছে। আমাকেও মারধর করে। আমার ৫ মেয়েকে হামলা করে। আমার ৩ ছেলেকেও মাস্তান নিয়ে মারধর করে। সংবাদ সম্মেলনে ছেমন খাতুনের মেয়ে রোকেয়া বেগম, এলমুন্নাহার, নুরুন্নাহার, ছেলে শামশুল আলম, হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাফেজ ইব্রাহীম বলেন, শাহ আলম আমাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমি বিদেশ থাকতে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। মাস্তান জড়ো করেছে যে কোন মুহুর্তে তারা জায়গায় এসে স্থাপনা নির্মাণের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি মাস্তান গ্রæপকে কিছু জায়গা রেজিস্ট্রি দিয়েছে। এ জায়গা মূলত তার নয়। তথ্য গোপন করে আমার মায়ের জায়গা দখলে দিয়ে মাস্তানদের ম্যানেজ করছে। পেকুয়া থানার এ,এস,আই সাইজুদ্দিন জানান, বিরোধীয় জায়গায় শাহ আলম গং অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এম,আর মামলা রয়েছে। মায়ের অভিযোগ আছে ছেলের বিরুদ্ধে। আমি বলে দিয়েছি শান্তি ভঙ্গের পাঁয়তারা করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে।