কক্সবাজারের পেকুয়ায় ২ যুবলীগ নেতাসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় পেকুয়া থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। পুলিশ ১ জনকে আটক করে। চলতি ২৪ মার্চ পেকুয়া থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনসহ ১৩ জনকে আসামী করে এ মামলাটি রুজু করা হয়। যার মামলা নং ২৩/২৪। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি হিরাবুনিয়াপাড়ার আবদুল হাকিমের পুত্র মো: শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করে। মামলার আসামীরা হলেন-হিরাবুনিয়াপাড়ার মৃত আবু ছিদ্দিকের পুত্র আবু বক্কর, তার ভাই আবদুল মালেক প্রকাশ ভূট্টো, মৃত আবুল কাশেমের দুই পুত্র রমিজ উদ্দিন, আবদু শুক্কুর, আবদুল মজিদের পুত্র মো: টিপু, শাহ আলমের পুত্র মো: ইসমাইল, মৃত ফজল হকের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ চান্দু, মৃত আবুল কাশেমের পুত্র নাছির উদ্দিন ও শাহ আলমের পুত্র কামাল হোসেন। পেকুয়া থানা পুলিশ রাজাখালী ইউনিয়নের সিকদারপাড়া ষ্টেশন থেকে গত মঙ্গলবার ২৬ মার্চ রাত ১০ টার দিকে মামলার ৮ নং আসামী হিরাবুনিয়াপাড়ার মৃত ফজল হকের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ চান্দু (৪৯) কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতে সোপর্দ করে। চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করেন। এ সময় তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
সুত্র জানান, ২২ মার্চ টইটং ইউনিয়নের হিরাবুনিয়াপাড়ায় দুই যুবলীগ নেতাসহ ৩ সহোদর ও এক নারীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে। ওই দিন জুমার নামাজ শেষ করে হিরাবুনিয়াপাড়া জামে মসজিদ থেকে বের হন ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আমানুল্লাহ, তার ভাই যুবলীগ নেতা তোফাইল উদ্দিন, হাজী বাজারের ব্যবসায়ী শাহ জামাল। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দুবৃর্ত্তরা এ তিনজনকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনায় নুর আহমদের স্ত্রী শাহানা বেগম (২৭) কেও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা জখমীদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ২ জনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনার ২ দিন পর জখমীদের ছোট ভাই হাজী বাজারের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির রাত ১০ টার দিকে দোকান বন্ধ করে হিরাবুনিয়াপাড়ায় পৌছলে তাকেও মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তাকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। এ ব্যাপারে যুবলীগ টইটংয়ের ৮ নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারন সম্পাদক আমানুল্লাহ জানান, সে দিন আমরা পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছি। নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলাম। আমরা ৩ ভাই এক সাথে হেটে বাড়ি যাওয়ার সময় আসামীরা ধারালো অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। মূলত তারা আমরা ৩ ভাইকে খুনের মিশনে নেমেছিল। আমি যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। তবে আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। এর দুই দিন পর আসামীরা আমার আরেক ভাই হুমায়ুনকে বাড়ি ফেরার পথে রাতে হামলা চালায়। তার অবস্থা এখনো উন্নতি হয়নি। চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেলে। হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ চান্দুকে থানার এস,আই নাজমুল হক রাজাখালী থেকে পালানোর সময় আটক করে। পেকুয়া থানার ওসি মো: ইলিয়াছ জানান, মামলা রেকর্ড হয়েছে। ১ জন আসামীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।